জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০০ শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা করবে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৫৭ আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:০৩
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রাথমিকভাবে ৭০০ শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থার অস্থায়ী উদ্যোগের পরিকল্পনায় এগিয়ে এসেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে। কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে স্থায়ী হল নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সেখানে আবাসিক সুবিধা পাবেন।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সাব্বির আহমাদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন ওই এমওইউতে সই করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আস-সুন্নাহর চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ ও উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক আনোরুস সালাম, ছাত্র উপদেষ্টা এবং প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক।
পরে বিষয়টি নিশ্চিত করে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০০ শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিকভাবে আবাসনের ব্যবস্থা করব। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার-দাবারসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করবে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ১০০ কম্পিউটার নিয়ে একটি ল্যাব থাকবে। আগামী বছরের এপ্রিল মাস থেকেই আমরা পুরোদমে কাজ শুরু করব।
প্রাথমিকভাবে ছেলেদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা অচিরেই মেয়েদের জন্যেও হলের ব্যবস্থা করব। কারণ ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অভিভাবকরা বেশি দুশ্চিন্তায় থাকেন। আমরা একটা সময় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করছি। সেক্ষেত্রে অন্যান্য দাতা প্রতিষ্ঠান আমাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করলে বিষয়টি আরও সহজ হবে। অস্থায়ী আবাসনে সব ধর্মের শিক্ষার্থীরাই জায়গা পাবে। হলের ভেতরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে আমরা বিরত রাখার চেষ্টা করব।
আস-সুন্নাহর সঙ্গে এমওইউ সইয়ের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, আমাদের অন্যতম পরিকল্পনা ছিল কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া। অর্থাৎ তাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যার সমাধান করা যায় কিনা। আজকে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন এগিয়ে এসেছে। তাদের সঙ্গে চুক্তির শর্ত মোতাবেক আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও একমত হয়েছি। এই মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ